বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে ৪টি ইটভাটার মালিককে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাকী ৭টি বহালতবিয়তে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দিনব্যাপী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে চারটি ইটভাটায় নেতৃত্ব দেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা ও বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন৷
অভিযানে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ঘুমধুম ইউনিয়নের ASB’কে ২ লাখ টাকা, BHB’কে ২ লাখ টাকা ও AFD, শাহব উদ্দিনকে নিয়মিত মামলা করা হয়।
এদিকে বহালতবিয়তে অবৈধ ৭টি ইটভাটা গুলো হচ্ছে, মিলন মিস্ত্রির HSB, সাজু বড়ুয়ার DSB, ফরিদ কোম্পানির BBM, আবুল কালাম মেম্বার KRS, খালেদ সরওয়ার হারেজ KRE, বাবুর HAZI সহ আরও অনেক।
স্থানীয়রা জানান, ফসলি জমিতে ও লোকালয়ে গড়ে ওঠা এসব ইটভাটার চিমনীর উচ্চতা কোনোটিরই ৬০ ফুটের বেশি নয়। অথচ চিমনী থাকতে হবে ১২০ ফুট লম্বা। ভাটার চিমনী থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ায় আমার এলাকার বাসিন্দারা অতিষ্ঠ। এমনকি আশপাশের গাছও মরে যাচ্ছে। গাছের পাতা শুকিয়ে ঝরে পড়ছে। এসব ইটভাটার ৯০ শতাংশই জ্বালানি ব্যবহার, ভাটা স্থাপন ও পরিবেশসংক্রান্ত বিধান মানছে না।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩তে উল্লেখ আছে, ইটভাটায় ফসলি জমির উপরের মাটি (টপ সয়েল) ব্যবহার করলে প্রথমবারের জন্য দুই বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। দ্বিতীয়বার একই অপরাধের জন্য ভাটা কর্তৃপক্ষকে দুই থেকে ১০ বছরের জেল এবং দুই থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে। অনুমোদন না নিয়ে ইটভাটা স্থাপন করলে এক বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা যাবে; কিন্তু কার্যত এখনো আইন বাস্তবায়ন করতে পারেনি সরকার। ফলে ইটভাটার আগ্রাসনও বন্ধ করা যাচ্ছে না।
অভিযান শেষে আদালতের নির্দেশনা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা৷
পাঠকের মতামত